১. জেলার পরিচিতি ও ইতিহাস
- জেলার পরিচিতি: শরীয়তপুর জেলা নদীভিত্তিক একটি জেলা, যা বাংলাদেশের ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
- ইতিহাস: শরীয়তপুরের ইতিহাস প্রাচীন এবং এখানে অনেক সভ্যতার প্রভাব রয়েছে।
২. ভৌগোলিক অবস্থান ও জলবায়ু
- ভৌগোলিক অবস্থান: শরীয়তপুর জেলা ২৩° ১৩’ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১° ৪০’ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত।
- সীমানা: উত্তরে মাদারীপুর, দক্ষিণে বরিশাল, পূর্বে কিশোরগঞ্জ এবং পশ্চিমে পদ্মা নদী।
- জলবায়ু: এখানে মৌসুমি বর্ষা হয়, গ্রীষ্মকাল গরম এবং শীতকাল তুলনামূলক শীতল।
৩. প্রশাসনিক কাঠামো ও উপবিভাগ
- উপজেলা: শরীয়তপুর জেলায় ৫টি উপজেলা রয়েছে: শরীয়তপুর সদর, নড়িয়া, জাজিরা, ডামুড্যা এবং গোসাইরহাট।
- পৌরসভা ও ইউনিয়ন: জেলা বিভিন্ন পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদে বিভক্ত।
৪. জনসংখ্যা ও জনমানবিক বৈশিষ্ট্য
- মোট জনসংখ্যা: প্রায় ২০ লক্ষ লোকের বসবাস।
- ভাষা: প্রধান ভাষা বাংলা, তবে স্থানীয় উপভাষাও ব্যবহৃত হয়।
- ধর্ম: মুসলিম, হিন্দু এবং অন্যান্য ধর্মের অনুসারী রয়েছে।
৫. অর্থনীতি ও শিল্প খাত
- বাণিজ্য ও শিল্প: এখানকার অর্থনীতি মূলত কৃষি ও মৎস্য ভিত্তিক।
- কৃষি: ধান, আলু, পেঁয়াজ এবং অন্যান্য সবজির চাষ হয়।
৬. শিক্ষা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
- বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ: স্থানীয় সরকারী কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলি শিক্ষার প্রসারে কাজ করছে।
- স্কুল: সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যালয়গুলো শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দিচ্ছে।
৭. স্বাস্থ্যসেবা ও চিকিৎসা
- সরকারি হাসপাতাল: শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল এখানে সেবা প্রদান করে।
- বেসরকারি হাসপাতাল: বিভিন্ন স্থানীয় ক্লিনিক ও হাসপাতাল রয়েছে।
৮. পর্যটন আকর্ষণ ও দর্শনীয় স্থান
- শরীয়তপুরের নদী ও খাল: নৌকাবাইচ এবং নদীর দৃশ্য উপভোগের জন্য বিখ্যাত।
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া মন্দির: ধর্মীয় দর্শনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান।
৯. পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা
- সড়কপথ: জেলা দেশের অন্যান্য স্থানের সাথে সড়কপথে সংযুক্ত।
- নদীপথ: বিভিন্ন নদীর মাধ্যমে নৌপথে যোগাযোগ সম্ভব।
১০. স্থানীয় সরকার ও রাজনীতি
- প্রতিনিধিত্ব: জাতীয় সংসদে শরীয়তপুর জেলার জন্য কয়েকটি আসন রয়েছে।
- জেলা প্রশাসন: জেলা প্রশাসকের অফিসসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
১১. বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব
- রাজনৈতিক নেতা: অনেক রাজনৈতিক নেতা এখানে জন্মগ্রহণ করেছেন, যারা দেশের উন্নয়নে অবদান রেখেছেন।
- সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব: সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে অনেক মানুষ এখানে পরিচিত।
১২. জরুরি যোগাযোগ
- পুলিশ: ৯৯৯, ফায়ার সার্ভিস: ১০২
- প্রধান হাসপাতাল: শরীয়তপুর জেলা হাসপাতাল।
১৩. সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য
- উৎসব: স্থানীয় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক উৎসব পালন করা হয়, যেমন ঈদ, নববর্ষ এবং পবিত্র ধর্মীয় উৎসব।
- খাদ্য: স্থানীয় খাবার হিসেবে শরীয়তপুরের মিষ্টি ও মাছের রান্না জনপ্রিয়।
১৪. উন্নয়ন প্রকল্প ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
- অর্থনৈতিক উন্নয়ন: শরীয়তপুর জেলা নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করছে এবং স্থানীয় শিল্প প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছে।
- শিক্ষা ও স্বাস্থ্য: স্থানীয় শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্প চলছে।
Leave a Reply